সে একরাত বটে। রোদ ঝলমলে সকালে টেন্টের দরজা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দেখি চারিধারের পাহাড়ের মাথায় সোনালী সূর্যের ছটা। সোনামার্গের যাত্রীনিবাসে মনোরম ঘাসের ওপর টেন্ট খাটিয়েছিলাম।
স্হানীয় মানুষ একে এককথায় হাড়োয়া মাজার বলেই চেনে। এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে এটির। ২৯শে ফাল্গুন এখানে বার্ষিক উৎসব হয়। স্হানীয় হিন্দু ঘোষ পরিবারের সদস্যরা প্রথম এখানে এসে দুধ দিয়ে মাজার ধুয়ে পুজো দেন।
রেলপথে লোহার দুটি লাইনের ওপর ইঞ্জিনের কেবিনে বসে তাঁদের জীবনের অর্ধেকের বেশি দিন কেটে যায়। চাকুরি জীবন শেষে দেখা যায় কটা দিন আর বাকি।
কাটোয়া স্টেশনের পরে যে রাস্তাটা “কেতুগ্রামের” দিকে
গেছে, সেটির দুপাশে শুধুই ধানক্ষেত। এখানের সবচেয়ে বড় নদী ‘অজয় নদ’ একটু দূরেই গঙ্গারসাথে মিশেছে।
২০২৪ সালের জুন মাসের ঘটনা। চলেছি মানালি থেকে লাদাখ। সেখান থেকে কাশ্মীর হয়ে জম্মু। পুরোটাই সাইকেলে। যাত্রার একেবারে শেষ দিকে এসে পৌঁছেছি। দু-দিন মাত্র বাকি। আজ আছি ‘পাট্নি টপ’এর কাছে ‘বাটোট্’ বলে একটি জায়গায় এক পূর্ব পরিচিত সর্দারজী’র বাড়ি। সেখান থেকে ৬ কিমি ওপরে উঠতে পারলেই পাট্নি টপ।
ছোটবেলা থেকে এতবার শুনে আসছি গানটা, সময় পেলেই গুনগুনিয়ে উঠি – “গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা, কাবেরী যমুনা ওই….”। সব নদীগুলো ইচ্ছে হলেই দেখতে পারি শুধু ‘সিন্ধু’ ছাড়া। সে নাকি হাতের নাগালে নয়। যে দূর থেকে হাতছানি দেয়, তার প্রতি বোধহয় টান বেশি জন্মায়। তাই মনে মনে তাকে বলতাম, যখন তুমি আস্ত একটা নদী ছিলে, তখন আমার জন্ম হয়নি।