গোরাচাঁদ পীর মাজার
স্হানীয় মানুষ একে এককথায় হাড়োয়া মাজার বলেই চেনে। এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে এটির। ২৯শে ফাল্গুন এখানে বার্ষিক উৎসব হয়। স্হানীয় হিন্দু ঘোষ পরিবারের সদস্যরা প্রথম এখানে এসে দুধ দিয়ে মাজার ধুয়ে পুজো দেন। তারপর মুসলমানদের পুজো শুরু হয়। যদিও হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সকলের কাছে এটি পবিত্র ধর্মস্হান। দুনিয়ায় এতকিছু ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও এখানে আজ পর্যন্ত কোনো জাতিগত দাঙ্গা হয়নি। ধর্মীয় সম্প্রীতির এ এক আদর্শ নিদর্শন। বছরে একবারই মূল মাজারের দরজা খোলা হয়। সেদিন কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়।
এর একটা ইতিহাস আছে সেটি জানা দরকার। আরবদেশের এক পয়গম্বর গোরাচাঁদ পীর সাহেব এখানে আসেন ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে। ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে তিনি ভয়ংকরভাবে আহত হন। এই ঘোষ পরিবারের চিকিৎসাতেই শেষপর্যন্ত তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই ঘোষ পরিবারের এই সম্মান আজও অটুট।
কথিত আছে, তাঁকে রক্ত বন্ধ করার জন্য চুন সুরকীর ব্যবহার করতে হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। তাই হাড়োয়াতে গৃহ নির্মাণের জন্য আজ পর্যন্ত চুন সুরকীর ব্যবহার করা হয় না।