বুদ্ধপথের সন্ধানে
সম্প্রতি প্রকাশিত এই বইটির মূল উপজীব্য হল ভগবান বুদ্ধের জীবন আধারিত কাহিনী। এই মহাপুরুষের জীবন ও
ভাবধারা একটি পুস্তকে লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা অবান্তর। সে চেষ্টাও করিনি। শুধুমাত্র তাঁর চলার পথে চলার সামান্য
প্রয়াস রেখেছি মাত্র।
এই মহাপ্রাণের জন্ম বর্তমান নেপালের লুম্বিনী শহরে এবং তার পরিনির্বাণ ঘটে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর শহরে।
তাঁর বেড়ে ওঠা কপিলবস্তু রাজ্যে। গৃহত্যাগের পর তিনি বিভিন্ন স্থান ঘুরে বুদ্ধগয়ায় এসে মোক্ষলাভ করেন। এরপর
রাজগৃহ, নালন্দা ঘুরে উত্তর ভারতের একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজের ধর্ম প্রচার করেন। এক এক করে রাজ্যগুলির রাজারা
তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহন করেন। পরবর্তীকালে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে দক্ষিন-পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশে তার ধর্ম ছড়িয়ে
পড়ে।
জীবদ্দশায় তিনি যেখানে যেখানে গমন বা ভ্রমন করেছেন, আমার সাধ্যমতো সেই সব স্থানে আমি গমন করে
সেখানকার বর্তমান চিত্র এই বইটির মাধ্যমে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
বলাই বাহুল্য, আমার সফর সঙ্গী হল আমার সাইকেল। প্যাডেলের চাপে যতটা সম্ভব, সেই সব স্থান কভার
করছি। কিছু কিছু স্থান বাকি আছে। পরবর্তী সংস্করণে সেগুলিকে এর সাথে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করি।
বইটি সম্বন্ধে যাদের আগ্রহ আছে, তারা নিম্নে দেওয়া বাটনটিতে
ক্লিক করুন
দেশ ভাগে হারিয়েছি যাদের
আমার লেখা এই বইটি শুধুমাত্র যাত্রাপথের গাইড বুক হিসাবে লেখা তা নয়। ১৯৪৭ সালের
দেশভাগ এবং ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর ও আরও পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত বিখ্যাত বাঙালী তৎকালীন
পূর্বপাকিস্থানের (বর্তমানের বাংলাদেশ) ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন, তাদের ফেলে আসা সেইসব
বাসস্থান বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তার অনুসন্ধানেই আমার ছিল সাইকেল অভিযান। এধরনের
গবেষণামূলক যাত্রার কোনো শেষ হয় না। আবার গেলে আবারও কিছু তথ্য সংগ্রহ করে আনা যায়। কারণ
বইতে পড়ে জেনেছি, বিখ্যাত বাঙ্গালীর অধিকাংশ মানুষেরই বসবাস ছিল পূর্ববঙ্গে। অতএব এ তথ্যানুসন্ধানের
কোনো শেষ হবার নয়। তবু কোনো একটা জায়গায় ইতি টানতে হয় বই’এর স্বার্থে।
এই কাজ করতে গিয়ে আমার গমন মোটেও খুব স্বছন্দ পথে হয়নি। বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জের প্রত্যন্ত
অঞ্চলের মধ্য দিয়ে আমার যে যাত্রাপথ, তার কথা অনেক বাংলাদেশী বসবাসকারীও অজানা। আমাদের
দেশের ভ্রমণ পিপাসু অনেক মানুষ যারা চেনা রাস্তার বাইরে গিয়ে অজানাকে আবিস্কারের মনোবৃত্তি ধারণ
করেন, সেইসব পাঠকদের কাছেই আমার বই’এর চাহিদা বেশ ভালো মতোই দেখা গেছে। আর যারা ইতিহাস
সন্ধিৎসু মানুষ, তারা বই নিয়ে অন্য চোখে দেখেন। তাদের চোখে এটি একটি দলিল। পাঠকদের মতামতের
ভিত্তিতে এই কথাগুলি লেখার সাহস সঞ্চয় করেছি। ঢাক পেটানোর কোনো উদ্দেশ্য এখানে নেই।
বইটি সম্বন্ধে যাদের আগ্রহ আছে, তারা নিম্নে দেওয়া বাটনটিতে
ক্লিক করুন