মদনের প্রেম

বাঙালীর কাছে ‘মদন’ নামটার মানে যাই হোক না কেন, আমি যার কথা বলছি সে হল হিমাচলের প্রেমিক মদন। মদনের সাথে আমার প্রেমের কাহিনী বলার জন্যই আমার কলম ধরা। আসলে প্রেমটা আমার সাথে মদনের নয়। মদনের প্রেমিক সত্ত্বার সাথে। মদন একটা ছেলে। তার সাথে আর কী প্রেম করব। তবে মনস্তত্ত্ববিদরা বলেন, প্রেমের সাথে ছেলে মেয়ের সম্পর্ক নেই। প্রাথমিকভাবে একটা ভালোলাগা যখন আবেশে ঘনীভূত হয় তখন তা প্রেমের চক্রব্যূহ তৈরি করে। নারী পুরুষের প্রেমে আবেগের সাথে অঙ্গাঙ্গীকতা মাত্রা পায়। এটাই যা পার্থক্য। কিন্তু আবেগ ছাড়া প্রেম হয়না। মদনের সত্ত্বার সাথে আমার প্রেমটা নারী পুরুষেরও নয়। আবার কৃষ্ণ প্রেমও নয়। তা যে কী তা বলতে গেলে বিশদে যেতে হবে।হিমাচলের মান্ডির ছেলে মদন। বেচারা কম বয়সে দুম করে বিয়ে করে ফেলেছে। ওদের অবশ্য কম বয়সে বিয়ের প্রথার চল আছে। কিন্তু চাকরি তো একটা চাই। তাই সেনাবাহিনীর BRO তে অস্থায়ী চাকরি সে জুটিয়েছে।

‘BRO’ পুরো নামটা হল “Border Roads Organisation” যারা মূলত ভারতের সীমান্ত এলাকায় প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রযুক্তিগত কাজে লিপ্ত থাকে। সে দপ্তরের বিভিন্ন জায়গায় অফিস থাকে। আমার সাথে মদনের পরিচয় লাদাখের লেহ্‌ তে এই রকমই একটি অফিসে আসলে অফিসে বলাটা ভুল, অফিসের বড় ক্যাম্পাসে ছিল আমার বন্ধু কনকের সরকারী বাসস্থান। সেখানে মদন ছিল তার সর্বক্ষণের সহকারী। আমি প্রথম যেদিন কনকের বাড়ি গেলাম, তাকে প্রথম দেখলাম। কত আর বয়স হবে (২৪-২৫) বছরের ফর্সা ছিপছিপে ছেলে। কনক নির্দেশ দিল – “সাব কা হাত সে ব্যাগ লে লো”। সাহেবের অর্ডার, সে আমার সব লাগেজ (পারলে আমাকেও) তুলে নিয়ে ঘরে গিয়ে রাখল। সে কনকের যাবতীয় কাজ করে। যাবতীয় বলতে আক্ষরিক অর্থে যাবতীয়। সকালে কনক ঘুম থেকে ওঠার আগে সে আসে। সামনের দরজা তো বন্ধ রাখতেই হবে। পেছনের খিড়কির একটি দরজা দিয়ে এসে বাথরুম দিয়ে চুপি চুপি ঢোকে।এজন্য বাথরুমের দরজা খোলা রাখা হয়। কিন্তু সে খবর কেউ জানেনা। সকালে চা থেকে শুরু করে তার কাজ শুরু। তারপর স্নানের জল ভরা, জল গরম করা, রাতের রান্নার প্রস্তুতি, বিছানার চাদর পালটানো, গাছে জল দেওয়া, ধোপার বাড়ি জামাকাপড় কাচতে দিয়ে আসা, এগুলো সকালের মধ্যেই করে ফেলতে হয়। এরপর সে নিজের ডেরায় চলে যায়। দুপুরে কনক অফিস থেকে ঘরে আসার আগে মদন চলে আসে। তখন তার কাজ হল খেতে দেওয়া। এরপর খাবার থালা ও টেবিল ধুয়ে মুছে সাফ করে সে আবার চলে যায় নিজের ঘরে। আবার সন্ধ্যে বেলা আসে। জলখাবার ও রাতের খাবার প্রস্তুত করতে করতেই হয় যায় রাত ৯টা। তারপর টেবিলে খাবার সাজিয়ে তার ছুটি। আসলে ছুটি বলে তাদের কিছু নেই। সাহেব ডাকলে আসতেই হবে, সে মাঝরাতে হলেও। হিসেব মতো তাদের ২৪ ঘন্টা ডিউটি। তাও আবার কাজটা অস্থায়ী। যেকোনো সময় কাজ চলে যেতে পারে। মাইনেও যে খুব বেশি তা নয়। তবুও কাজের প্রতি তার আগ্রহ দেখার মতো। হয়তো অনেকে বলবে, অস্থায়ী কাজের যে অস্থিরতা, তা ই তাকে এরকম মনোযোগী হতে বাধ্য করেছে। বসের সামনে তার যে ব্যবহার, তার বাইরে গিয়েও তাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কনকের বাসস্থানে একা একা দিনের পর দিন থাকার সুবাদে চাকুরীরত মদনের বাইরের যে মদন, তাকে উপলব্ধির সুযোগ আমার কাছে হয়েছে বলেই এ লেখার অবতারণা।

কনক সকাল ৯:৩০’এ অফিস যাওয়ার পরে আমি নিজের কাজ কিম্বা অনান্য বহু কারণে বাড়িতে থাকতাম। তার প্রতি আমার আগ্রহ বাড়লো যখন দেখলাম সমানে সে ফোনে কারো সাথে কথা বলে চলেছে, লুকিয়ে প্রেম করলে যেমন হয় আর কী। কনক কে বললাম, “হ্যাঁ রে, তোর হেল্পার মনে হয় প্রেম করে। সারাক্ষণ রান্নাঘরে কার সাথে ফোনে কথা বলে যায়”। কনক বলল ও নাকি কম বয়সে বিয়ে করে নিয়েছে। বউ এর সাথে কথা বলে। তবে এভাবে সারাক্ষণ যে কথা বলে সেটা কনক জানে কিনা জানি না। অত বিস্তারিত তাকে জানাবার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে নিজের চোখ দিয়ে তাকে সারাক্ষণ লক্ষ্য করে গেছি। মদন যাকে বিয়ে করেছে সে নাকি একজন ডাক্তার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে জওয়ানদের একজন অস্থায়ী হেল্পার একজন ডাক্তার কে বিয়ে করল কী ভাবে। আমার কাছে সে ব্যাপারে বেশ কৌতুহল জাগলো। হতে পারে তারা দুজনে পূর্বপরিচিত। তবে মদন যদি গুল মেরে বিয়ে করে থাকে, ব্যাপারটা আমাকে ভাবিয়ে তুলল। আমাদের পাড়ার সুনীলদা বলে একজনকে জানতাম যার একটা ওষুধের দোকান ছিল। সে নিজেকে ডাক্তার বলে মুঙ্গেরের এক মহিলাকে বিবাহ করেছিলেন। পরবর্তীকালে সে দম্পতির কী হাল হয়েছিল চাক্ষুস করেছি। ফলে গুল মারার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল।

আসলে মদনের কোনো ক্ষতি হোক চাইতাম না। কারণ তার মধ্যে এমন একটা প্রভুভক্তি বা আনুগত্য লক্ষ্য করেছিলাম যেটা মনে হয়েছিল বিরল। কনকের শুধু একবার মদন বলে ডাকতে হয়, সঙ্গে সঙ্গে মদন হাজির। ভাবতাম, এত আস্তে ডাক মদন শুনতে পাচ্ছে কী করে। পুরনো দিনের সিনেমায় বাড়ির অনুগত ভৃত্যরা যেমন বাবু কী চাইছে জানত, না চাইতেই তার সামনে প্রয়োজনীয় জিনিষ এনে ধরত, মদন একদম সেরকম। আসলে নাগরিক জীবনে এরকম চরিত্র আমি সামনাসামনি দেখিনি বলেই হয়তো মদনের দিকে অবাক চোখে তাকাতাম। কনকের দেখাদেখি আমারও একটু সাহস এসেছিল। আমি মদনকে দুটো ব্যাপারে বসে মতো অর্ডার করতাম – “মদন থোরা পাণি দো”। আর “মদন এক কাপ চায় বানাও”। আমি তার বসের বন্ধু মানে আমাকেও সে বসের সম্মান দিত। যে কদিন ছিলাম, নিজেকে বেশ কর্নেল কর্নেল মনে হতো।

মদনের নিজের থাকার জন্য অন্য একটা আবাস আছে। কিন্তু সেখানে খুব একটা প্রাইভেসি নেই কারণ বেশ কয়েকজন একসাথে শোয়ে। সে জায়গায় কনকের ঘর সারাদিন ফাঁকা। কিন্তু আমি থাকাতে তার হয়েছিল মুশকিল। অন্য সময় যখন আমি বাইরে থাকতাম, কিম্বা কোনো কাজে বাইরে গেছি, মদন হয়ে যেত
বাড়ির মালিক। রাজার মতো পায়ের ওপর পা তুলে ফোনে কথা চালাতো। আমি হঠাৎ এসে গিয়ে তার ধড়মড় করে উঠে বসার আওয়াজ পেয়েছি। দরজাটা খুলেই দৌড়ে চলে গেছে রান্নাঘরে। তখন বোধহয় তাদের মধ্যে কোনো ঘনিষ্ঠ অন্তরঙ্গ বাক্যালাপ চলছিল, আমি এসে যেতে রসভঙ্গ হয়েছে। একটা ব্যাপার
দেখতাম যে ওইটুকু একটা রান্নাঘর- বড়জোর চার ফুট বাই আট ফুটের একটা ঘর। সেখানে সে সারাক্ষণ থাকে আর গুজুর গুজুর করে ফোনে কথা বলে কী করে। প্রেমের আঠা একেই বলে। বউ দূরে থাকলে বোধহয় আকর্ষণ দ্বিগুণ হয়। আমি অবশ্য কান পাততে চেষ্টা করিনি তাদের কথায়। তবে খুবই আস্তে আস্তে
কথা চলত। মাঝে মাঝে শুধু শুনতে পেতাম “স্যার হ্যায়, স্যার হ্যায়”। এই স্যার মানে আমি। আসল স্যার (মানে কনকের) থাকার সময় তার কোনো ফোন আসত না। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ মজাদার হয়ে উঠেছিল।

ডাক্তার বউয়ের বুদ্ধিতে মদন এবার টেকনোলজির আশ্রয় নিল। একদিন দেখি মদন দিব্যি কাজ করছে আর কথাও বলে চলেছে। লক্ষ্য করলাম যে গলায় একটা ব্লু টুথ কলার ব্যান্ড ঝুলছে। কাজের ও কথার কামাই নেই। ওর হয়তো মনে হয়েছে, “স্যার হারালে স্যার পাওয়া যায় রে, কিন্তু বউ হারালে বউ পাওয়া যায় না”। তাই সাহস বাড়িয়ে আমার সামনে গল্প করতে লেগেছে। মদন একেই তোতলা, তার ওপর হিমাচলের ঢঙে টেনে টেনে কথা বলে। ফলে আমার পক্ষে কিছু বোঝা সম্ভব ছিলনা। তাই সবটুকুই আমার আন্দাজ ও কল্পনা নির্ভর অনুভুতি। শুধু একটা কথাই ভাবতাম, এ কেমন ডাক্তার বউ। রুগী নিয়ে ব্যাস্ত থাকবে তা
নয়, বর কে নিয়ে পড়ে আছে।

আমার যেদিন চলে আসার কথা, তার এক সপ্তাহ পরে কনকের ফেরার কথা। তখন মদন করবে টা কী। তারই ভালোর জন্য কনক অন্য একটা বিভাগে দিন পনেরোর জন্য একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিল যাতে তার উপার্জনের ঘাটতি না হয়। এর পরদিন থেকে দেখি মদনের বউয়ের ফোন আসা বন্ধ। মদনকেও
মনমরা লাগতে লাগল। তার সাথে বউয়ের যে গন্ডগোল হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু বিষয়টা অজানা।
তাই কৌতুহল আমার বেড়ে গেল।

ঠিক দুদিন পরে কাঁচুমাচু মুখে মদন কনকের সামনে এসে দাঁড়ালো অপরাধীর মতো। কনক জিজ্ঞাসা করল “কেয়া হুয়া মদন”? সে বলল “সাব হামারা ছুট্টি চাহিয়ে”। কনক বলল যাব্বাবা। তোমার ভালোর জন্যই তো আমি অন্য ডিপার্টমেন্টে কাজ দিলাম যাতে টাকা কাটা না যায়। মদন বলল, “সাব বহুত দিন
হো গিয়া, ঘর নেহি গিয়া। মেহেরবানী করকে মেরা ছুট্টি মঞ্জুর কিজিয়ে। আপ আনেসেহি ম্যায় কাম পে
আজাউঙ্গা”। কনক বলল এ আর এমনকি। যাও না। কে বারণ করেছে।

কনক অফিস চলে গেল। আমি ফেরার জন্য মালপত্তর গোছাতে শুরু করলাম। মদনের আবার ফোনচলে এল। সে আবার ছন্দে ফিরে এল। সাধারণত সাহেবদের ধারে কাছে তারা ঘেঁষেনা। এতে সাহেবদের প্রাইভেসি ক্ষুণ্য হয়।তারা শুধু সাহেবের হুকুম তামিল করে। আমার কাছেও সে ঘেঁষতো না। কিন্তু যেদিন আমি চলে আসব, আমার কাছে বিভিন্ন অছিলায় ঘুরঘুর করছিল। আমারও মনটা মদনের জন্য খারাপ হয়েছিল। কারণ ওর মতো সুমধুর একটা মানুষের সঙ্গ আমি আর পাবো না। কিন্তু ওকে সেটা বুঝতে দিই নি। আমাকে বেশি বেশি সময় দিচ্ছে দেখে ওর জীবনের কথা জিজ্ঞাসা করলাম। খুশিতে টগমগ হয়ে সে বাড়ির কথা বলতে লাগল। কিন্তু বউয়ের কথা তুলল না। অতটা নিজেকে সে হয়েতো মেলে ধরতে পারেনি আমার কাছে। তার ব্যবহারে খুশি হয়ে আমি তাকে প্রতিদান হিসেবে কিছু টাকা দিতে চাইলাম। ও সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে কোনো কথা না বলে রান্নাঘরে চলে গেল। আমি উঁকি মেরে দেখলাম ও মাথা নিচু করে
দাঁড়িয়ে আছে। আমি ঘাবড়ে গিয়ে কথা না বাড়িয়ে চলে এসে ভাবতে লাগলাম আমি কি কিছু ভুল্ করলাম?

দুপুরে কনক আসার পরে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম যে মদন কে আমি খুশী করার জন্য একটু সামান্য কিছু দিতে চাই। আসলে বাজিয়ে দেখলাম ওদের সিস্টেমটা কি। কনক এক কথায় না করে দিয়ে বলল, “খবরদার দিবিনা। ওর প্রয়োজনে এমনিই আমি অনেক কিছু দিই। তোর টাকা খরচের দরকার নেই”। আমার মন আমার কাছে। তাই তাকে অত ব্যাখ্যায় না গিয়ে এটুকু বুঝলাম যে টাকা দিতে গিয়ে অন্তত অন্যায় করিনি। তাহলে মদন ওভাবে চলে গেল কেন। প্রশ্নটা মনে ঘুরপাক খেতে লাগল।

মদন অবাঙ্গালী হলেও আন্দাজ করে বুঝে নিয়েছিল যে ওকে টাকা দেবার ব্যাপারে কনকের সাথে আলোচনা করছিলাম। ও শুধু বলল, “সাব, মাফ কর দিজিয়ে। ম্যায় আপসে পয়সা নেহি লে সাকতা”। আমি বললাম ঠিক হ্যায় ঠিক হ্যায়। ও যে কিছু একটা উত্তর দিল, এতেও আমার মন কিছুটা হালকা হল।

কনকের বাড়ি থেকে আমার আসার সময় হল রাত তিনটে। ফলে তার আগের রাতই হল শেষ রাত। দুই বন্ধু খেতে বসব বলে রেডি হচ্ছি, টেবিলে খাবার দাবার গুছিয়ে রেখে মদন চলে যায়। আজ সে ঘুরে আমার দিকে ফিরে দাঁড়াল। আমি বললাম, “বোলো মদন”। সে বলল গুড নাইট স্যার। মাথাটা নামানোই রইল। ঘুরে চলে গেল। আমার কেমন খটকা লাগল। বললাম, “মদন রোকো রোকো। মেরে তরফ দেখো”। যা ভেবেছিলাম তাই। ওর চোখটা জলে ভেজা। আমারও মনটা ভিজে গেল। বললাম, ভগবান যদি চায়, তোমার সাথে আবার আমার দেখা হবে। যাবার আগে একটা অনুরোধ করি মদন, একবার হেসে তবেই যাও। বলতেই তার একগাল হাসি।

তার ভালোলাগার রেশটুকু নিয়ে আমি বাড়ি ফিরলাম। মঞ্চের নাটকের মতো কনক ফ্যালফ্যাল করে পুরো দৃশ্যটা দেখতে লাগল। বলল, “বাবা, ও তো তোর প্রেমে পড়ে গেছে রে”। আমি ভাবতে লাগলাম, জওয়ানদেরও তো একটা মন আছে। আপাতঃ ইস্পাত কঠিন সেই মনের গভীরে ঢুকতে পারাটাও তো আমার সাফল্য। কনককে জানতেও দিলাম না মদনের জীবনের কেমিস্ট্রি। সবকিছু জানা হয়ে গেলে জীবনটা কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যায়। মদনের গল্প তো গল্প নয়। কিছু মুহূর্তের কথা মাত্র। এর অন্তর্নিহিত অর্থ যে যার মতো করে খুঁজুক। সারা পৃথিবী জুড়ে দুটি মনের রসায়নের গল্প অবিরত ঘটে চলেছে। প্রতি মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ
রসায়নের অপমৃত্যু ঘটছে। আবার নতুন রসায়ন জন্ম নিচ্ছে। ঠিক মানুষের জন্ম, মৃত্যু ও পুনর্জন্মের মতো।

চোখের সামনে এই যে ছোট ছোট ঘটনা, জীবনের ফ্রেমে পরেরপর বাঁধিয়ে রাখলে বেঁচে থাকার উপাদানের শেষ নেই। আমাদের চারপাশে অবিরত অনবরত কত ছোট ছোট ঘটনা ঘটে চলেছে যা চোখের দৃষ্টির আড়ালে রয়ে যায়। চোখ খোলা রাখলে সেগুলোই হয়ে ওঠে বেঁচে থাকার উপাদান।

Written By Sandip Chatterjee